ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শরীয়তপুরে সদর হাসপাতাল

বদলির ৩ মাস যেতেই সাবেক কর্মস্থলে ফিরছেন হিসাব রক্ষক বজলুর রশিদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
বদলির ৩ মাস যেতেই সাবেক কর্মস্থলে ফিরছেন হিসাব রক্ষক বজলুর রশিদ

শরীয়তপুর: তিন মাস আগে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিসাব রক্ষক বজলুর রশিদকে বদলি করা হয় মুন্সিগঞ্জ জেলা লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।  

বদলির তিন মাস পেরোতেই আবার তাকে শরীয়তপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে হিসাব রক্ষক পদে বদলির আদেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) ডা. মুহাম্মদ রেজাউল হক এ বদলির আদেশ দেন।  

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছিল। বজলু্র রশিদকে পুনরায় সদর হাসপাতালে বদলি করায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বজলুর রশিদ, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর ধরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। হিসাব রক্ষক পদে বজলুর রশিদ কর্মরত থাকা অবস্থায় সদর হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের কাজ একই ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তার নামে বেনামে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকানা থাকারও অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালে বিশেষ করে অপু এমপি থাকায় পুরো সদর হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ছিল বজলুরের দখলে। এতদিন কেউ মুখ খুলতে না পারলেও ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নানান সমালোচনার মুখে গত ৯ সেপ্টেম্বর বজলুর রশিদকে বদলি করা হয়। এতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি দেখা যায়। এর তিন মাস যেতে না যেতেই গত ১৫ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) ডা. মুহাম্মদ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, ফের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বদলি হয়েছেন বজলু।  

হাসপাতালের অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলেন, এত বছর হাসপাতালে বজলুরের বাইরে কথা বলার সুযোগ ছি়ল না। তিনি বদলি হওয়ায় আমরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও আবার তিনি ফিরছেন। তার খুঁটির জোর কোথায়? তার চাচাতো ভাই সাবেক এমপি অপু পলাতক থাকলেও বজলুর আবার বহাল তবিয়তে ফিরছেন।

এ ব্যাপারে বজলুর রশিদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অনেকে অনেক কথা বলছে। এ নিয়ে কিছু বলার নেই।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, নিয়োগ বা বদলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করে থাকে। এসব আমার হাতে নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।