ঢাকা: ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে প্রেসক্রিপশনে রোগীদের ওইসব ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানিগুলো।
উত্তরবঙ্গের যেসব চিকিৎসক ও ড্রাগিস্টরা এ ধরনের অর্থ নেন তাদের নামের তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করা হলো বৃহস্পতিবার।
যেহেতু চিকিৎসক ছাড়াও এ তালিকায় কোয়াক , পল্লী চিকিৎসক এবং ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা ড্রাগিস্টরা রয়েছেন তালিকায়, তাই সবার নামের পূর্বে ‘ডা.’ পদবী উল্লেখ করেনি বাংলানিউজ। তবে কোম্পানি অর্থ প্রদানের তালিকায় সবার নামের পূর্বেই ‘ডা.’ ব্যবহার করেছে।
তালিকায় রয়েছে, পঞ্চগড়ের টুনির হাটের রেজাউল ইসলাম, তেঁতুলিয়া রোডের রওশন জেনারেল হাসপাতালের ডা. আশরাফুল ইসলাম। পঞ্চগড়ের এমসিডাব্লিউসি’র ডা. সেলিনা বেগম।
সাবা ফার্মেসির মাজেদ আলী মিয়ার নাম থাকলেও আর্থিক লেনদেন হয়নি।
তেতুলিয়া’র বাংলাদেশ কমিউনিটি মেডিকেলের ডা. রাজিউল হক রাজু, আলম ফার্মেসির বি. কে. দাস, শালবাগান বাজারের মাসুদ ফার্মেসির মাসুদ রানা অর্থ নিয়েছেন ওষুধ কোম্পানি থেকে।
তালিকায় নাম রয়েছে, পঞ্চগড়ের টুনিরহাটের ডা. খায়রুল ইসলাম এবং আধুনিক সদর হাসপাতালের ডা. বারহাম আলী, ফুটকিবাড়ি বাজারের আনিসুর রহমান।
পঞ্চগড়ের আতোয়ারি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের ডা. মাওলা বক্স চৌধুরী, আতওয়ারি বাজারের নুরুল ইসলাম। ফকিরগঞ্জ বাজারের রাজ ফার্মেসির রাজকুমার বর্মনের নাম তালিকাতে থাকলেও অর্থের লেনদেন হয়নি।
পঞ্চগড়ের বডা ডক্টরস কোয়ার্টারে ডা. আব্দুস সামাদ, শুভ অ্যান্ড শুচি ফার্মেসির জুলফিকার আলী খান, বদা বাজারের লতা ফার্মেসির লতিফুর রহমান এবং একই বাজারের ডা. আশরাফুল ইসলাম দুলালের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কোম্পানির।
ওই তালিকায় আরো রয়েছেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদরের রোড মার্কেটের ডা. এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, ডক্টরস কোয়ার্টারের ডা. আব্দুল্লাহ আল আমিন খান, আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের ডা. এ এস এম সুলতান আলম, ইমরান মার্কেটের ডা. হাবিব ই রসুল লিটন এবং ভেলাজান বাজারের কসিম উদ্দিন।
জেলার ফাড়াবাড়ি হাটের তোফাজ্বল হোসাইন, বিবি রোডের অ্যাপোলো হসপিটালের ডা. জাহাঙ্গীর আলম, সদরের ভুলি বাজারের শহীদুল হক, নিরাপদ ডায়াগনস্টিক ফার্মাসির ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথ, আধুনিক সদর হাসপাতালের ডা. মেহবুবা শিরিনের নামও রয়েছে তালিকায়।
নেকমারদ বাজারের ভাই ভাই মেডিকেল স্টোরের নজরুল ইসলাম, বালিয়াডাঙ্গি বাজারের লাহাড়ি হাটের ইসলাম উদ্দিন এবং সাইফুল আলম, আল শেফা ফার্মেসির এনামুল হক অর্থ নিয়েছেন ওষুধ কোম্পানি থেকে।
তালিকায় আরো রয়েছেন, হরিপুরের রাণীশংকৈলের জাদুরানী বাজারের ডা. আব্দুল গণি, তাসরিন ডেন্টাল অ্যান্ড জেনারেল চিকিৎসালয়ের ডা. আবু তাহের, হসপিটাল কোয়ার্টারের বাসিন্দা ডা. ফিরোজ আলম।
আশরাফ মেডিকেল স্টোরের আশরাফুল ইসলামের নাম তালিকাতে থাকলেও অর্থের লেনদেন হয়নি।
রয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের খোচা বাড়ির ডা. অনন্ত কুমার রায়। এসডো কমিউনিটি হসপিটালের ডা. মারুফ আলী খান, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের শিবরামপুরের নতুন হাটের ডা. কুশল চন্দ্র রায়ের নাম।
দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জর বচাগঞ্জ উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স ডা. রাশেদুল ইসলাম, সেতাবগঞ্জ উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের ডা. আকলিমা খাতুনও নিয়েছেন অর্থ।
সিনেমা হল রোডের সেবা প্যাথলজির ডা. এনামুল হকের নাম থাকলেও আর্থিক লেনদেন হয়নি।
বিদ্র: খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে অনৈতিক প্রক্রিয়ায় ওষুধ বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। অবৈধ অর্থ নেওয়া আরো চিকিৎসকদের নাম। আপনি বা আপনার চারপাশে চিকিৎসা সেবা পেতে হয়রানির শিকার হওয়ার কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে পারেন mazadul.noyon@gmail.com এই ঠিকানায়। অথবা ফোন করুন ০১৬৭৪১৭৪০৭০ এই নাম্বারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৩/আপডেট ১১০৭ ঘণ্টা
এমএন/এএইচএস/আরআইএস/জেএম