ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকে বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসক আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৩

ঢাকা: আড়াই বছর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম বরখাস্ত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক ছিলেন।

বরখাস্ত হওয়ার পরও রাজধানীর কয়েকটি স্থানে নিজস্ব চেম্বার খুলে রোগী দেখতেন এই চিকিৎসক।

পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সুবাদেই ঢামেকে পুরনো সহকর্মীদের কক্ষে বসে বিভিন্ন রোগীর ভ‍ুয়া চিকিৎসার সনদপত্র টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করতেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে এরকম একাধিক অভিযোগ বেশ কয়দিন ধরে ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে আসতে থাকে। অভিযোগের বিষয়ে গোপনে তদন্ত করতে গিয়ে ঢামেক পরিচালক ওই সমস্ত ঘটনার সত্যতা পান।

এরপর তিনি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন ঢামেকে নিয়মিত আসেন বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম।

শুক্রবার সোয়া ১২টায় ঢামেক পরিচালক আকস্মিকভাবে নিজ কর্মস্থলে আসেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে ঢামেক পরিচালক বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় আটক করেন। তারপর তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিজকে বলেন, বিভিন্ন সময় রোগীদের জাল সার্টিফিকেট টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে জাহাঙ্গীর আলমকে।

এদিকে ঢামেক পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বরখাস্ত হওয়ার পরও পুরনো সহকর্মীদের কক্ষে বসে বিভিন্ন রোগীর ভ‍ুয়া চিকিৎসার সনদ পত্র টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করতেন এই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, অনেক দিন আগে থেকে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে শুক্রবার তাকে হাতে-নাতে ধরা হয়। পরে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় এই চিকিৎসককে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৩
জেএস/এফআইএস/এমজেএফ/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।