সিলেট: তিনদিনের আলটিমেটাম দিয়ে কাজে যোগদান করলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শনিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় তারা মেডিকেল কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনদিনের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন।
ক্যাম্পাস এলাকায় বহিরাগত বখাটেদের ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন মহিলা চিকিৎসকদের উক্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে এদিন সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা।
একাধিকবার এ বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর প্রেক্ষিতে শনিবার কর্মবিরতি দেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
পরে দুপুরের দিকে হাসপাতালের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুস সালামের ক্যাম্পাসে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা ও পুলিশ মোতায়েনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ক্যাম্পাসের ভেতরে ডা. মিলন ও আয়শা হোস্টেল রয়েছে। রাতের বেলায় ডিউটি শেষ করে হোস্টেলে ফেরার পথে মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন।
তারা জানান, ঘটনাটি একাধিকবার হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুস সালামকে অবহিত করলেও তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি। বরং অভিযোগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অপরাধ সংঘঠিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রিমু বাংলানিউজকে বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে আয়শা হোস্টেলের সামনে আড্ডা দেয়। ডিউটি শেষে ছাত্রীরা ফেরার পথে উত্যক্তের শিকার হন।
তিনি বলেন, হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ মহিলা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনদিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে ছাত্রী হোস্টেলের সামনে পুলিশ মোতায়েন, অন্ধকার এলাকায় লাইট লাগানোসহ যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
অন্যথায় রোগীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তারা পুণরায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাবেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫