ঢাকা: আপনার মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশে কি দীর্ঘদিন ধরে ব্রণ বা দাগ রয়েছে? তাহলে কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের মুখের ত্বক অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিচ্ছবি।
লন্ডনভিত্তিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জন টাগরিস জানান, মুখে বিভিন্ন অংশের দাগ মূলত দুশ্চিন্তা, খাদ্যাভাস, পরিপাক, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, পানিস্বল্পতা হরমোনজনিত সমস্যা প্রভৃতির কারণে হয়ে থাকে।
জন দীর্ঘদিন চীনা চিকিৎসাবিধি অনুসরণ করে আসছেন। তাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, মুখের বিভিন্ন অংশ যেমন নাক, কপাল, চোয়াল, গাল প্রভৃতির সঙ্গে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, লিভার, ব্লাডারের সংযোগ রয়েছে। এটিকে বলা হয় ফেস ম্যাপ।
এক কথায়, মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশের ত্বকের সুস্থতা জানান দেবে আপনার অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করছে বা সেগুলো সুস্থ রয়েছে কিনা। আসুন জেনে নিই-
কপাল
সাধারণত পরিপাকতন্ত্র বা মূত্রাশয়ে সমস্যা থাকলে কপালে ব্রণ বা দাগ দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানে জনের পরামর্শ- প্রচুর পানি পান, গ্রিন টি ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। এসব খাবার শরীরের টক্সিন ও অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দেয়। এছাড়াও পরিপাকক্রিয়ার ভারসাম্যহীনতা দূর করতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। জানান জন।
ভ্রু’র আশপাশে ধারণা করা হয়, যকৃতের সমস্যা থাকলে ভ্রু’র আশপাশে দাগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বেশি পরিমাণে তেল-মসলা ও ফ্যাটজাতীয় খাবার এর অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত। সেক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি কম তেলে রান্নার খাবার খান এবং চিনি ও লবণ খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিন।
গাল
গাল ফুসফুসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আপনি যদি প্রতিনিয়তই ঠাণ্ডা ও সর্দিতে ভোগেন, শ্বাসকষ্ট বা যদি বুকে ইনফেকশন থাকে তাহলে গালে দাগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে জনের দেওয়া সমাধান, ধূমপান বর্জন করুন। সবুজ শাক-সবজি খান, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন।
নাক
হৃদযন্ত্রে সমস্যা, অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ, খাদ্যের জৈব উপাদান ও ফ্রি রেডিক্যালস নাকে দাগ বা ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী। জনের মতে, হরমোন নিঃসরণে ভারসাম্য না থাকলে তা ত্বকের সিবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে তৈলাক্ত রস সিবাম উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় ও লোমকূপে পানি জমে। যা পরবর্তীতে ব্রণ তৈরি করে।
এর সহজ সমাধান হলো শসা, তরমুজ, গাঁজর, বাঁধাকপি, লেটুস, আলু, চেরি, পেঁপে ইত্যাদি।
চিবুক ও চোয়াল
এ দুই স্থানে দাগ থাকলে বুঝতে হবে আপনার কিডনি বা ব্লাডারে অসুস্থতা রয়েছে অথবা হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি। জন জানান, পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান করলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
এসএমএন/এএ