ঢাকা: এবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দিনেই শিশুদের ভিটামিন-‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) দেশব্যাপী ক্যাম্পেইন দিবসটি উদযাপিত হবে।
কেন্দ্রগুলো খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রের সঙ্গে আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে এ সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাটে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মসূচির বিস্তারিত জানান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন-‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার শতভাগে উন্নীত করা গেছে এবং ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগেরও নিচে নেমেছে।
এবার দুর্গম এলাকাগুলোতেও ক্যাম্পেইন সফলের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, ক্যাম্পেইন পর্যালোচনা করতে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রে এ দিবসে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
সংশ্লিষ্টদের অবগতির জন্য জাহিদ মালেক জানিয়ে দেন, ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশু যাদের আছে, সেসব মা-বাবা ও অভিভাবকরা যেন অবশ্যই শিশুকে এ সেবা নিতে কেন্দ্রে আসেন। মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক- সবাই এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
‘শিশুদের অবশ্যই ভরাপেটে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভিতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক হবে না’- বলেন তিনি।
এদিন ৬-১১ মাসের শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ক্যাপসুল, (এক লাখ আই, ইউ), ১২-৫৯ বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ক্যাপসুল (২ লাখ আই, ইউ) খাওয়ানো হবে। এছাড়া ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসকেএস/এমজেএফ