ঢাকা: আমাদের রক্তকোষে আয়রনসমৃদ্ধ প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এই প্রোটিন সারা শরীরে অক্সিজেন পরিবাহিত করতে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিনের কাজ
হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা শরীরের বিভিন্ন কোষে ছড়িয়ে দেওয়া। এর ফলে জীবিত কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এছাড়াও হিমোগ্লোবিন কোষ থেকে কার্বোনডাইঅক্সাইড বের করে দেয়।
সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা প্রয়োজন। কিছু খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মান ঠিক রাখা যায়। দেখে নিই এক নজরে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
শরীরে লোহার ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো- কলিজা, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আমন্ড, খেজুর, শতমূলী ইত্যাদি।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রোকোলি, আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
ফলিক এসিড
ফলিক এসিড এক প্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্ত কণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, ব্রোকোলিতে অনেক ফলিক এসিড পাওয়া যায়।
বিট
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক এসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম। এর পুষ্টিমান শরীরের লাল রক্ত কণিকা বাড়ায়।
আপেল
দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরও নানাপ্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খান। অথবা সমানুপাতে আপেল ও বিটের রস মেশাতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএমএন/এসএস