ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ধূমপায়ীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
ধূমপায়ীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

ঢাকা: ধূমপায়ী শিক্ষার্থীরা আগামী বছর থেকে কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিস্মেবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বেলা ২টার দিকে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা মোকাবেলায় ডিওটি’র (ডট) ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।



মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ধূমপানমুক্ত না হলে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে না। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ধূমপানমুক্ত সার্টিফিকেট পেশ করতে হবে। যারা এই সার্টিফিকেট দিতে পারবে না, তারা কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।

এই সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে সব মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকেই এই নিয়ম বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

নাসিম বলেন, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ, সিসিইউ’র ব্যবস্থা করা হবে।

কিন্তু আমাদের লোকবল কম। আমরা গত বছর ৬ হাজার ডাক্তার গ্রামে দিয়েছি। সমস্যা নিরসনে কাজ করছি। স্বামী-স্ত্রী উভয় ডাক্তার হলে একই জায়গায় পোস্টিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. মোজ্জাম্মেল হক বলেন, যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। প্রতিবছর প্রতি একলাখ মানুষের মধ্যে ২২৭ জন নতুন করে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়। একজন যক্ষ্মা রোগীর এক বছর যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তার থেকে এই রোগ আরও ১০ জনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তকরণ একটি বড় সমস্যা। এসব ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন আছে এটি ঠিক। কিন্তু এইসব যন্ত্রপাতি চালানোর মতো দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে দেশে। তবে সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ব্র্যাক’র যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’র পরিচালক ডা. আকরামুল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা রোগী নির্ণয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এক্সরে। সারা দেশে ৫শ’ উপজেলায় ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দেওয়া উচিত। নতুবা আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গেলেও রোগশনাক্ত করতে পারবো না। তাই এতে তেমন একটা ফল হবে না।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলমান গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি রশীদ-ই-মাহবুব ও নাটাব’র সহ-সভাপতি মোজাফফর হোসন পল্টু।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫/ আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা
ইউএম/টিআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।