বেনাপোল (যশোর): জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখা গেছে, জিকা ভাইরাস আক্রান্ত বিদেশি কোনো যাত্রী আসছেন কিনা সে ব্যাপারে নজর রাখতে।
জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমাঞ্চল। ভারত থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের প্রায় চারশ’ বিদেশি যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তাদের কেউ যদি এ ভাইরাস আক্রান্ত হন, তার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ আশঙ্কা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করেছে বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন দেশের ৮৬৫ জন নাগরিক বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে ভারতের ৮১৯ জন, অস্ট্রেলিয়ার চার, শ্রীলংকার এক, বেলারুসের দুই, ব্রিটিশ এক, মালয়েশিয়ার ১০, আমেরিকার আট, ক্যানাডার নয়, ইতালির এক ও ইন্দোনেশিয়ার ১০ জন নাগরিক রয়েছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিদেশিরা ইমিগ্রেশনে আসার পরপরই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার যতিস রায় জানান, এর আগে ইবোলা ও সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করেছে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নতুন করে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশনা পাওয়ায় এ বিষয়ে নজরদারী বাড়িয়েছেন তারা।
ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আসা বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের তালিকা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য কর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা তালিকা অনুযায়ী যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানিং মেশিনে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।
জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে এডিস এজিপ্টি নামে এক প্রজাতির মশকির মাধ্যমে বাহিত জিকা ভাইরাসের কারণে মায়ের পেট থেকেই নানা সমস্যা নিয়ে জন্ম নেয় শিশু। যার কোনো চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এসআই