দিনাজপুর: জিকা ভাইরাস শনাক্তকরণে দিনাজপুরের হিলি স্হলবন্দরে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
জিকা ভাইরাস বহনকারী কোনো বিদেশি যেন দেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য হিলি স্থলবন্দরে এ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে ইমিগ্রেশনে আসার পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিদেশিদের মেডিকেল টিমের কাছে পাঠানো হয়।
৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) থেকে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ৬৮৪ জন বিদেশির এদেশে এসেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস বহনকারী এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।
হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ভারত থেকে কোনো বিদেশি এদেশে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল টিমের কাছে পাঠানো হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই তবে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জিকা ভাইরাস শনাক্তকারী মেডিকেল টিমের সদস্য ও হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, জিকা ভাইরাস বহনকারীদের অবশ্যই জ্বর থাকবে। এছাড়া মাথা ও জয়েন্টে ব্যথা, শরীরের মাংসপেশীতে ব্যথা, চোখ লাল এবং শরীরে হামের মতো গোটা থাকবে এটাই হলো জিকার প্রধান লক্ষণ। এজন্য আমরা প্রথমে নন কনটাক্ট ইনফ্রারিড থার্মাল স্ক্যানার (non-contact infrared thermometer) দ্বারা জ্বর পরীক্ষা করছি। জ্বর ধরা পড়লেই অনান্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পরও সবাইকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তবে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশনা আসেনি। যাদের দেহে ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যাবে তাদেরই পরীক্ষা করা হচ্ছে।
চলতি মাসের ১২ দিনে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বিভিন্ন দেশের ৬৮৪ জন নাগরিক বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের করো মধ্যে এ
ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
আরএ