ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

তামাক পণ্য

প্যাকেটের উপরে ৫০শতাংশ সতর্কবাণী বাস্তবায়ন দাবিতে রোডশো

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬
প্যাকেটের উপরে ৫০শতাংশ  সতর্কবাণী বাস্তবায়ন দাবিতে রোডশো ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: বিধিমালা অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের উপরের ৫০ শতাংশ জুড়ে সতর্কবাণী বাস্তবায়নের দাবিতে ৩ দিনব্যাপী রোডশো শুরু হয়েছে।  

সোমবার (১৪ মার্চ) তামাক বিরোধী ১২টি সংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।



তামাক বিরোধী সংগঠন ‘প্রজ্ঞা’র পাঠ‍ানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  জানানো হয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এসিডি, ইপসা, সীমান্তিক, উবিনীগ, ইসি বাংলাদেশ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, নাটাব, প্রত্যাশা, এইড ফাউন্ডেশন ও প্রজ্ঞার উদ্যোগে এ কর্মসূচি ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

ওইদিন অর্থাৎ বুধবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তিনদিনের কর্মসূচি শেষ হবে।
 
বিবৃতিতে প্রজ্ঞা বলছে, আইন অনুযায়ী-সিগারেটের প্যাকেটের উপরের অংশের ৫০ শতাংশ জুড়ে ছবিসহ সতর্কবাণী দেওয়ার বিধান রয়েছে।
কিন্ত‍ু কোম্পানির দাবি অনুযায়ী তামাক পণ্যের প্যাকেটের নিচের অংশের ৫০ শতাংশ জায়গায় ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  

গত ১৩ মার্চ এ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেই ব্যক্তিগত সফরে বিদেশ গেছেন মন্ত্রী।

এদিকে মন্ত্রীর অনুমোদনের আগেই অর্থাৎ ১২ মার্চ বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) সিগারেটের মোড়কের নিচের ৫০ শতাংশে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছে।

সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের সময়সীমা ১৯ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আইনমন্ত্রী দেশে ফিরবেন ২০ মার্চ। বিষয়টি নিয়ে কথা না বলার জন্যই মন্ত্রী বিদেশ সফর করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তামাক বিরোধী ১২টি সংগঠনের নেতারা।

সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকার’স সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিধি অনুসরণ করে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবার্তা সংযোজন করার ঘোষণা দেন।  
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণাও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর।

এর আগে তামাক কোম্পানির ‘স্বার্থ রক্ষা’ করেই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এর বিধিমালা চূড়ান্ত করতে দুই বছর সময় নেয় আইন মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬
পিআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।