ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৩৭ দিন বিদ্যুৎহীন পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৬
৩৭ দিন বিদ্যুৎহীন পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স! ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খাগড়াছড়ি: টানা ৩৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের।

ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের দাবিতে স্থানীয়রা মানববন্ধন করলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

সীমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলায় প্রায় ৬৪ হাজার নাগরিকের চিকিৎসাসেবার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় ১০ শয্যাবিশিষ্ট এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার মূল ভরসা এ হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ট্রান্সফরমারটি হঠাৎ করে গত ১৩ মে বিকল হয়ে পড়ে। এরপর একমাসেরও বেশি সময় কেটে গেলেও পরিস্থিতির কোনো উত্তরণ ঘটেনি।

ফলে ব্যাপক বিড়ম্বনা ও কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের।

এদিকে, বিদ্যুৎ না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের মূল্যবান টিকা ও ভ্যাকসিন। রোগীদের মতো দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল পাটোয়ারী ও হাফসা বেগম জানান, বিদ্যুৎ না থানায় এখন এ হাসপাতালে রোগী থাকছে না। চিকিৎসকরাও রোগীদের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি, বহির্বিভাগে রোগী দেখলেও তা আগের তুলনায় সংখ্যায় কম।

এদিকে, ট্রান্সফরমারটি বিকল হওয়ার এক সপ্তাহ পর স্থানীয়দের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় সেটি মেরামত করা হলেও ফের তা বিকল হয়ে যায়।

পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসত ডা. বিদুর্ষী চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের কার্যক্রম অনেকটাই অচল। রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারছেন না। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎনির্ভর পরীক্ষা-নিবীক্ষা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব ত্রিপুরা জানান, জেনারেটর চালিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম কিছুটা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব না বলে জানান তিনি।

এদিকে, সংকট উত্তরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অকেজো ট্রান্সফরমারটি মেরামতের জন্য ১৮ জুন চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী জহির রায়হান বলেন, ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ার সপ্তাহখানেক পর বিষয়টি জানতে পেরে মেরামত করা হয়। কিন্তু ফের বিকল হলেও হাসপাতাল থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।

অকেজো ট্রান্সফরমারটি মেরামত করে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সপ্তাহখানে সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।