ঢাকা: বিশ্বে প্রতিবছর ৬ মিলিয়ন মানুষ স্ট্রোকে মারা যায়। আর ৫ মিলিয়ন মানুষ করছে এর ফলে পঙ্গুত্ববরণ।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এমন তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষে বিপিএ সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। পরে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।
'বয়সের সাথে প্রাণ জুড়ে নিন' স্লোগানে এবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে বিপিএ দিবসটি পালন করে আসছে। দিবসের সচেতনতা সৃষ্টিতে র্যালি, আলোচনা সভা, দেশব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া সাভারে পক্ষাঘাতদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি), পঙ্গু হাসপাতাল (নিটোর), আইএইচটি ঢাকা ও রাজশাহী, গণবিশ্ববিদ্যালয়, সাইক ও স্টেট কলেজে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ল্যনচেট এর গবেষণা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বিশ্বের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাচ্ছে, ফলে বেড়ে যাচ্ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা।
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২ বিলিয়ন ও ৮০ বছরের বেশি ৪০০ মিলিয়ন মানুষ হবে। যাদের বেশিরভাগই স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া ও পড়ে যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবছর স্ট্রোকে ৬ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে। পঙ্গু হচ্ছে আরো ৫ মিলিয়ন মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিজিওথেরাপি নেওয়ার মাধ্যমে পঙ্গু জনগোষ্ঠির জীবনে গতিশীলতা ও তাদের বিছানায় পড়ে থাকা জীবনে প্রান ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ থেরাপি নিয়ে প্রতিবছর ১০ মিলিয়ন ডিমেনশিয়া রোগী সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে। ৩২ শতাংশ বয়স্ক মানুষ পড়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।
ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে ২০৫০ সাল নাগাদ ফিজিওথেরাপি রোগীর সংখ্যা ৩ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
সমাবেশে বিপিএ উপদেষ্টা ড. আলতাপ হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, ট্রেজারার ডা. আজিজুল হক, স্বাধীনতা ফিজিওথেরাপির মহাসচিব ডা. খায়রুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
আরইউ/এসএইচ