ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সিলেটে স্বাস্থ্যসেবার নতুন পালক ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
সিলেটে স্বাস্থ্যসেবার নতুন পালক ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: হৃদরোগের চিকিৎসাসেবায় সিলেটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল।  সিলেটবাসীর চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে হাসপাতালটি ক্রমেই পূর্ণতা পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হার্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আমিনুল রহমান লস্কর।

 
   
ফাউন্ডেশনের চিকিৎসাসেবার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ডা. আমিনুল বাংলানিউজকে বলেন, রোগীর চাহিদা পূরণে ধাপে ধাপে ধাপে হাসপাতালের উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগী আসেন আউটডোরে। এ পর্যন্ত ২০ জন রোগীর সফল এনজিওগ্রাম হয়েছে।  

‘তবে পূর্ণাঙ্গ চাপ সামাল দিতে সময়ের প্রয়োজন এবং আস্তে আস্তে সেই সক্ষমতার দিকে আমরা এগোচ্ছি। চিকিৎসকের পাশাপাশি দক্ষ টেকনিশিয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে’- বলেন তিনি।  

তিনি জানান, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগী দেখা হচ্ছে। গত আগস্ট মাস থেকে চালু হয়েছে এনজিওগ্রাম এবং এনজিওপ্লাস্ট। দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসকরা হার্ট ফাউন্ডেশনে সফল এনজিওগ্রাম করেছেন ২০টির অধিক।  

আগামীতে সিলেটেই ওপেন হার্ট সার্জারি করা যাবে বলেও মনে করেন এই চিকিৎসক।  
 ডা. আমিনুল রহমান লস্কর বলেন, হার্টের এনজিওগ্রাম করাতে সিলেটের মানুষকে আগে ঢাকায় যেতে হতো। এতে চিকিৎসা ও থাকার ব্যয়ভার নিয়ে চিন্তা করতে হতো। এখন সিলেটের মানুষকে সেসব বিড়ম্বনা পোহাতে হবে না।  

এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টের পাশাপাশি ইসিজি, ইটিটি, ইকো, রক্ত পরীক্ষা ও হার্টের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন চিকিৎসা চালু করা হয়েছে।  একজন রোগী ১৪ হাজার টাকায় এনজিওগ্রাম করাতে পারেন।  

দেশের নামকরা হৃদরোগের চিকিৎসক ডা. খালেদ মহসীন হার্ট ফাউন্ডেশনের চিফ কনসালট্যান্ট হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যোগদানের পর থেকেই নিয়মিত হৃদরোগীদের এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্ট করছেন তিনি।  

চিকিৎসাসেবায় রয়েছেন আরও ৩ জন বিশেষজ্ঞ কার্ডিওলজিস্ট ও কার্ডিওলজি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১২ জন চিকিৎসক।  

ডা. আমিনুল বলেন, এখানে সার্জারিরও মানসম্মত চিকিৎসা রয়েছে।  প্রতিদিন শতাধিক রোগী আউটডোর ও ক্রনিক রোগীরা ইনডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

ডা. আমিনুল রহমান লস্কর বলেন, ২০০৭ সালের ৯ মে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ১০ শয্যার সিসিইউ, ২২ শয্যার পোস্ট সিসিইউ, ৬টি করে ১২ শয্যার ২টি পুরুষ-নারী ওয়ার্ড এবং ৮টি কেবিন নিয়ে চলছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, সিলেট।  
  
ডা. আমিনুল রহমান লস্কর বলেন, অধ্যাপক ডা. এম এ রাকিব হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ বেতারের সাবেক ধারাভাষ্যকার আবু তালেব মুরাদ পাবলিসিটি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সদস্য রয়েছেন ৩৩ জন।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
এনইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।