ঢাকা: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট মধ্যরাতে বিরাজ করে ভূতুরে পরিবেশ। দিনের তুলনায় রাতে রোগী কম থাকায় একদিকে হাসপাতাল থাকে জনমানবহীন, অন্যদিকে সবগুলো লাইটও থাকে বন্ধ।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন ১২টা ৫০ মিনিট। রাজধানীর তেজগাঁয়ে অবস্থিত এই ইনস্টিটিউটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মেইন গেইটের পাশাপাশি হাসপাতালের সামনের সব কয়টি লাইট বন্ধ রয়েছে। নিচতলার বহির্বিভাগের অভ্যর্থনা কক্ষে আলো নেই।
হাসপাতালের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত খালি, নীরব নিস্তব্ধ হয়ে আছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলাতেও।
পঞ্চম তলায় উঠে দেখা যায়, বেশির ভাগ কক্ষের সামনে লাগানো রয়েছে ডাক্তারদের পদবীসহ নেমপ্লেট। এ সময় হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. দিলীপ কুমার সাহার কক্ষের ফ্যান ও লাইট চালু ছিলো। অথচ বাইরে থেকে তালা মারা ছিলো কক্ষটি। একই চিত্র নার্সদের প্রধানের কক্ষেও।
তবে, সপ্তম তলায় দেখা যায়, ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশু তৈয়মুর রহমানকে কোলে নিয়ে আদর করছেন মা। শিশুটির মা জানালেন, ৪ মাস আগে তৈয়মুরকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। কিন্তু, তার ছেলের টিউমারের অপারেশন করেননি কর্তৃপক্ষ।
জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা হয় ডাক্তার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি এ বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রতিষ্ঠাটিতে ডাক্তার এবং নার্সরা রোগীদের দু’ভাবে সেবা দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে জরুরি বিভাগের মোট চারজন ডাক্তার তিন শিফটে এ দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তার সঙ্গে একজন করে নার্স ও ওয়ার্ড বয় থাকেন।
তিনি বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে জহিরুল ইসলামসহ মোট তিনজনকে সেবা দিয়েছেন। এর মধ্যে উত্তরা থেকে এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসেছেন তার বোন। ওই ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। আমি অন্যান্য ডাক্তারদের সহযোগিতায় দ্রুত চিকিৎসা দিয়েছি। আশা করছি, তিনি দ্রুত ভালো হয়ে উঠবেন। রোগীর প্রেসার ও হার্টের সমস্যা থাকায় অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬
এমএফআই/ওএইচ/আরআই