টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামের তালিম ঘর প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী কিডনি ও চক্ষু ক্যাম্প এবং স্বাস্থ্য শিক্ষামেলার আয়োজন করে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কিডনি বিশেষজ্ঞ এবং ক্যাম্পসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে আগত রোগীদের ১০ দিন আগে থেকে কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিতে সব রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। এছাড়াও ৩শতাধিক চক্ষু রোগীর চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স প্রতিস্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়।
ক্যাম্পস’র ‘ফ্রি কিডনি ও চক্ষু ক্যাম্প’ এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া, উপদেষ্টা, ফ্রি কিডনি ও চক্ষু ক্যাম্প-২০১৭, সাবেক জিএম, বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহাজাহান জয়। এ সময় তিনি ‘ক্যাম্পস’র নিয়মিত প্রকাশনা ‘প্রয়াস ১৩’ এর মোড়ক উম্মোচন করেন।
এছাড়াও আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- লায়নস্ ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল হেড কোয়ারটারের রিজিওনাল চেয়ারম্যান লায়ন মোবারক হোসেন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এহতেসামুল হক, সখীপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ওয়ালীদ ইসলাম প্রমুখ।
'ফ্রি কিডনি ও চক্ষু ক্যাম্প' এর আলোচনা সভায় কিডনি বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাম্পস’র সভাপতি ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ।
সভায় ডা. এম এ সামাদ বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্থেই ক্যাম্পস গত ১৩ বছর ধরে গ্রামের হত-দরিদ্রদের মাঝে এ স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এ ফ্রি কিডনি ও চক্ষু ক্যাম্পের ১০দিন আগে থেকে ক্যাম্পস ফ্রি কিডনি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়, যেখানে ১ হাজার ৩৪৮ জনকে কিডনি বিষয়ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, এর মধ্যে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ স্টেজ-৩ পাওয়া গেছে ২৩৮ রোগীর, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ স্টেজ-৪ পাওয়া গেছে ৫৬জন রোগীর, উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া গেছে ৪১০ রোগীর, ডায়াবেটিস পাওয়া গেছে ৩শ’ জন রোগীর, প্রসাবে এলবোমিন সমস্যা পাওয়া গেছে ২৪০ জন রোগীর।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
ওএইচ/পিসি