রোববার (০৫ মার্চ) বেলা ১২টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন ধরনের দাবি সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডসহ মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
কর্মসূচিতে শাস্তিপ্রাপ্তরাসহ ১৩০জন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অংশ নেন।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করে আন্দোলন করায় হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বিপুল সংখ্যক রোগী।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে শজিমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের স্থগিতাদেশ ও বদলির আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। সব চিকিৎসকের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
রোগীর স্বজনদের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে হবে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় বা যে কোনো চিকিৎসকের ওপর হামলা হলে হাসপাতাল প্রশাসনকে নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, প্রতি ডিপার্টমেন্টের গেটে ২৪ ঘণ্টা দুইজন আনসার সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। শজিমেক পুলিশ ফাঁড়িতে একজন এসআইকে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে।
প্রতিটি নাজুক পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। পাশাপাশি রাতে টহল পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে ফিরবেন না। কর্মবিরতি বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও বক্তারা বলেন।
এর আগে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শজিমেকে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা রোগী আলাউদ্দিনের ছেলে ও ২ মেয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিছু বিক্ষুদ্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে প্রহৃত হন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর স্বজনের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ৩ সদস্যের তদন্ত দলটি শজিমেকে আসেন। উচ্চ পর্যায়ে এই কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেন।
সেই প্রতিবেদনের আলোকে উক্ত ঘটনায় ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সভাপতি ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এমএ আল মামুন, সহ-সভাপতি ডা. আশিকুজ্জামান আসিফ, সাবেক সহ-সভাপতি ডা. কুতুব উদ্দিন ও ডা. নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
শাস্তি শেষে তাদের চারটি ভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে বলেও ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার (০২মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত শাস্তির বিষয়টি জানার পর হাসপাতালের ১৩০জন ইন্টার্ন চিকিৎসক একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেন।
শুরুতে তারা অঘোষিতভাবে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখলেও শনিবার (০৪ মার্চ) মানববন্ধন কমসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মূলত শাস্তি প্রত্যাহারের দাবির আন্দোলন প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এমবিএইচ/বিএস