ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার মনিটরিং করার সুপারিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার মনিটরিং করার সুপারিশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহের আলোচনা; ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশের জন্য প্রতিবছর কি পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন এবং ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসূহ কি পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করে থাকে, তার একটি পরিসংখ্যান নির্ণয় করা এখন সময়ের দাবি।

সোমবার সকালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনাসভায় বক্তারা এ ব্যাপারে তাগিদ দেন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ তুলে ধরেন। এছাড়াও অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের কুফল তুলে ধরে এ বিষয়ে মনিটরিংয়ের ওপরও জোর দেন তারা।

  

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ অনুযায়ী প্যাকেট সাইজ করা এবং এ বিষয়ে ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।  

প্রতিটি ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টার চালু করা এবং সেটি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা-এ বিষয়টি মনিটরিং করা প্রয়োজন। পাশাপাশি জরুরি ফুল কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করাও। ভেটেরিনারি প্রিমিক্সে যে অ্যান্টিবায়োটিক মেশানো যাবে না এ ব্যাপারে রেগুলেশন জোরদার করা এবং প্রচারণা চালানোরও তাগিদ দেন তিনি।  

অ্যান্টিবায়োটিকের প্যাকেটের গায়ে লিখতে হবে, অ্যান্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স সম্পন্ন করুন। না হলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ফার্মেসিতে যদি  স্টোরেজের ব্যবস্থা ভাল না থাকে তাহলে যেন ঔষধ বিক্রয়ের জন্য বায়োলজিক্যাল লাইসেন্স  না দেওয়া হয়—সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।  

অনেক রোগের জীবাণু বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসট্যান্ট (প্রতিরোধী) হয়ে পড়েছে বিধায় নতুন প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রয়োগ ও ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে অ্যান্টিবায়েটিকের খরচও বৃদ্ধি পাবে ও পাচ্ছে।

বক্তারা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রোডাক্ট রেজিস্ট্রেশন প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলামে অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন।

তারা বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না এবং অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে হলে ফুল কোর্সই কিনতে হবে—এটা নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। প্রাণীদের শরীরে রোগের জীবাণু অ্যান্টিবায়েটিক রেজিসট্যান্ট (অ্যান্টিবায়েটিক প্রতিরোধী) হয়ে গেলে তা দ্বারা মানুষও আক্রান্ত হবে। এজন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, বাংলাদেশ ঔষধশিল্প সমিতি, আইসিডিডিআর,বি, নিপসম, বিএসএমএমইউ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিসিপিএস, বিএমডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও পরিচালকবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমএন/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।