ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু ১০ জানুয়ারি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু ১০ জানুয়ারি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে ১০ জানুয়ারি।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জবাসীর বহু দিনের স্বপ্ন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে ১০ জানুয়ারি (বুধবার)। ওইদিন সকাল ১০টায় ক্ল‍াস শুরু উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে জেলার সর্বস্তরের লোকজনের উপস্থিতিতে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির।

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ান জানান, ১০ জানুয়ারি সারা দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ক্লাস শুরু হবে।

হবিগঞ্জে যেহেতু এবার মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হবে তাই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের নব নির্মিত ২৫০ শয্যা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় অস্থায়ী ক্যাম্পাস করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির জানান, ইতোমধ্যে কলেজের  সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কোনো ব্যক্তির নামে প্রথম প্রতিষ্ঠান এটি।

২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ শহরের নিউফিল্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির জনগণের পক্ষে হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যায়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন করার দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দরকে আধুনিকায়নের ঘোষণা দেন।

২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা আক্তার ২৪/(১০) স্মারকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেন হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ায় হবিগঞ্জবাসী নতুন আশায় বুক বাধেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ চালুর কথা ঘোষণা করেন। প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার পরও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পরে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবারও উদ্যোগ নেয়া হয়।

অস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্ধারণ করা হয়েছিল নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যা ভবনকে। সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু সুফিয়ানকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ওই শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি।

অবশেষে চলতি শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষকও পদায়ন করা হয়েছে এ মেডিকেল কলেজে। ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল নির্ধারণ করা হয়েছে হবিগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালকে। ছাত্রদের জন্য অনন্তপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।