ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস অক্টোবর

নাঈম হামিদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১১
স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস অক্টোবর

স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস’ হিসেবে অক্টোবর মাসটি সারা বিশ্বেই পালিত হয়। আগামী ৪ বছরের মধ্যে বিশ্বে স্তন-ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের স্তন-ক্যান্সার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পি কে জুলকা।


পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৯ লাখ নারী বিশেষ এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর এতে মৃত্যুবরণ করেন ৬৭ লাখ নারী। বিশ্বের সব দেশেই ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

অন্যদিকে তেমনি এ রোগ শুরুতে শনাক্ত করা গেলে মৃতুর হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা যায়। একেকজনের স্তন একেক রকম। এমনকি নিজের দুই স্তনও পুরোপুরি একরকম নয়। স্তনের আকার, ধরন, রং ইত্যাদিতে বিভিন্নতা থাকতে পারে। তবে স্তন বড় হয়ে যাওয়া বা ঝুলে পড়া, অন্য জায়গার তুলনায় স্তনের কোন জায়গায় চাকা হয়ে ওঠা, স্তনের ত্বক ভেতরের দিকে চলে যাওয়া বা ত্বকে ভাঁজ পরা, স্তনবৃন্ত থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনপ্রণালী স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।

স্তন পরীক্ষাঃ
স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে আপনি একজন চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ জন্য মাসে আপনাকে কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে। নিজে নিজে আপনার স্তন পরীক্ষা করুন। মাসিক শুরুর ৭ থেকে ১০ দিন পর বা মাসিক শেষ হওয়ার তিন দিন পর স্তন পরীক্ষা করা সবচেয়ে ভালো সময়। শরীরের উপরের অংশ থেকে কাপড় খুলে দুই হাত পাশে রেখে আয়নার সামনে বসুন। এবার ভালোভাবে লক্ষ্য করুন স্তনে কোনো অস্বাভাবিকতা যেমন_ দুটো স্তনের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আছে কি-না, স্তনের আকার-আকৃতি ও কালারে পরিবর্তন, দুটো নিপল বা স্তন বোঁটা একই লাইনে আছে কি-না, নিপল ভেতরে ঢুকে গেছে কি-না, স্তনের ত্বকে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় কি-না, নিপল থেকে রক্তিম বা পানির মতো কিছু বের হয় কি-না। এবার হাত আস্তে আস্তে মাথার ওপরে তুলুন। দেখুন, স্তনের ত্বক কমলালেবুর খোসার মতো মনে হচ্ছে কি-না, কোনো চাকা দেখা যায় কি-না। এবার পুরো স্তনকে চার ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ হাতের আঙুল দিয়ে ভালো করে পরীক্ষা করুন। হাতে চাকার মতো কিছু লাগে কি-না, তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি স্তনে কোনো চাকা বা উপরের সমস্যাগুলো দেখা দেয়, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এভাবে প্রতি মাসে একবার স্তন নিজে নিজে পরীক্ষা করুন।

বাংলাদেশ সময় ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।