ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নড়াইল সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগী বেড়েই চলেছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
নড়াইল সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগী বেড়েই চলেছে হাসপাতালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুরা। ছবি: বাংলানিউজ

নড়াইল: নড়াইল সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে নতুন নতুন রোগী। হাসপাতালের প্রতিটি বেডে তিন থেকে ৪ জন শিশুকে কোনো রকমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

গত ২ মাস ধরে নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এত বেশি সংখ্যক রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মাস ধরে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে কয়েকশ’ নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে মোট বেড রয়েছে মাত্র ১১টি। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ জন শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে। ১১টি বেডের বিপরীতে শিশু ভর্তি আছে অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা ৪২ জন।

লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের পরি খানম জানান, তার সাড়ে ৪ মাস বয়সের মেয়ে নুসরাতের নিউমোনিয়া হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে ২ দিন আগে ভর্তি হলেও এখনও বেড পাননি।  অনেক কষ্ট করে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি।
 
নড়াইল পৌর এলাকার পপি খানম জানান, তার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও অনেক টেনশনে আছেন তিনি। একটি বেডে তিন থেকে চার জন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।  

হাসপাতালের নার্স শ্যামলী অধিকারী জানান, শিশু ওয়ার্ডে মোট বেড রয়েছে মাত্র ১১টি আর বর্তমানে এই ১১ বেডের বিপরীতে শিশু ভর্তি আছে অর্ধশতাধিক। অল্প জায়গায় এত বেশি রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে শিশুদের ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়ার।

নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আ ফ ম মশিউর রহমান বাবু বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে নিউমোনিয়ার রোগী অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে শীত পড়তে শুরু করায় এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।