তিনি বলেন, আমরা আমাদের মতো করে গড়ে উঠতে পারিনি। এজন্য শিক্ষক ও ছাত্রদের মান বাড়াতে হবে।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এ লিগা মেডিকোরাম হোমিওপ্যাথিকা ইন্টারন্যাশনালিস (এলএমএইচআই) বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের বার্ষিক সম্মেলন, সেমিনার এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দীলিপ কুমার রায় বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিয়ে লিগা কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের গুরুত্ব সবার সামনে তুলে ধরতে প্রচার বাড়াতে হবে। আমি আশা করছি সম্মেলনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এ সম্মেলন সফল করতে সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথি খাতে যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি কিছু সমস্যাও রয়েছে। যেমন এ খাতের চিকিৎসকদের বেতন ৫০ শতাংশ বাড়ানো অনেক দিন থেকে বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। একই সঙ্গে একটি রিসার্চ সেন্টার করে দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী ২০ বছর আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হয়নি। সমস্যাগুলো নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের সময় অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও হোমিওপ্যাথি খাতের উন্নয়ন ঝুলে ছিল। এ খাতের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও প্রশ্নের মান বাড়াতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে মোবাইলকোর্ট যখন-তখন গিয়ে ডাক্তারদের হয়রানি করে। এছাড়া একটি রিসার্চ সেন্টার ও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের জন্য প্রচার প্রচারণা দিকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
সেমিনারে ন্যাশনাল লিগার মেডিকোরাম হোমিওপ্যাথিকা ইন্টারন্যাশনালিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আশরাফুর রহমানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্ট্রার ডা. জাহাঙ্গীর আলম, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন হোমিওপ্যাথি বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এম এ কাদের, ডিএইচএমএস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইফতেকার উদ্দিন, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামারুজ্জামান ভূঁইয়া, হোমিওপ্যাথিক ড্রাহ এক্সপার্ট ডা. ইমরুল কায়েশ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আকতারুউজ জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
জিসিজি/এসএইচ