শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের কমিটি গঠনের জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ধার্য করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভোটকেন্দ্রে সোনালী দলের শিক্ষকদের দুর্বৃত্তরা হেনস্তা করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি কোনো লিখিত বিবৃতি প্রকাশ না করায় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় সোনালী। বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়।
গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের পাশাপাশি এবছর ‘নীল দল’ নামে আলাদা আরও একটি প্যানেল করে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একটি অংশ।
নিজেদের সত্যিকারের আওয়ামী লীগ দাবি করে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামে আওয়ামীপন্থি, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন সময়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা রূপ বদল করে আশ্রয় লাভ করেছে। বর্তমানে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম সম্পূর্ণভাবে কমিউনিস্টদের দখলে চলে গেছে। অন্যদিকে নীল দল শুধু আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একটি সংগঠন। তবে সর্বশেষ ২০০৫ সালে আলাদা প্যানেল করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নীল দল।
এদিকে সোনালী দলের নির্বাচন বর্জনের পরে দীর্ঘদিন সুপ্ত থাকা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ নীল দল আলাদা প্যানেল করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। তিনি বলেন, ঠিক কি কারণে নীল দলের আবির্ভাব হয়েছে আমার জানা নেই। তবে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামীপন্থি এবং স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন।
নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং প্রিজাইডিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এএস মাহফুজুল বারি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব দলের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মধ্যদিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
জিপি