এসব রোগ থেকে রেহাই পেতে সচেতনতা, শীতের সকালে গরম কাপড় পরিধান ও অসুস্থ হওয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। তবে চিকিৎসকদের সদিচ্ছা ও ওষুধের সরবারহ স্বাভাবিক থাকায় ভর্তি হওয়া এসব রোগীরা উন্নত সেবা পাচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে জেলা হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে নারী ও পুরুষের পৃথক লম্বা লাইন দেখা যায়। মাত্র ৫ টাকার টিকিট নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন অনেকেই। তবে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পাওয়ার লাইন দীর্ঘ হওয়ায় বিরক্তির মাত্রাও বেশি বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২ শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে জেলা হাসপাতাল থেকে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় তিনশো। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সর্বমোট ৫৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসক আছে ৩৪ জন। ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসারের পদটি রয়েছে শূন্য। যেখানে প্রয়োজন রয়েছে ৮ জন। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত দেড় মাসের শিশু হুমাইরাকে নিয়ে চিকিৎসকের অপেক্ষায় থাকা কাজল হোসেন জানান, জেলা হাসপাতালে সেবার মান অতীতের চেয়ে এখন অনেক ভাল। তবে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এখানে সেবা নিতে গেলে দীর্ঘ লাইনে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়।
হাসপাতাল এবং রোগীর চাপ অনুযায়ী শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে সেবার মান ভাল। তবে জরুরি বিভাগে রোগীর বাড়তি চাপ থাকায় জরুরি চিকিৎসা নিতে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নিত মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে কিছুটা চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এদিকে শীতজনিত কারণে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকদের সদিচ্ছার কারণে আউটডোর এবং ইনডোরের রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছে।
তবে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার না থাকায় কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। আটজন ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। ওই আটজন চিকিৎসক পেলে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে সেবার মান আরও বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
কেএসএইচ/এএটি