শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ভবনের পিলারে কংক্রিট ঢেলে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
নির্মাণাধীন ১৩তলা বিশিষ্ট ১০০০ শয্যার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির আয়তন প্রায় ৫০,০০০ বর্গমিটার।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএসএমএমইউ’র অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ-এর অর্থায়নে নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবার প্রতি মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ বাস্তবতায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ যথার্থ ও অত্যন্ত সময়পোযোগী। বাংলাদেশে এ ধরণের হাসপাতাল এই প্রথম।
১৩তলা হাসপাতাল ভবনটিতে থাকবে ১০০০ শয্যা। দেশে প্রথম সেন্টার বেইজড চিকিৎসাসেবা চালু হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশে সেন্টার বেইজড চিকিৎসাসেবা পদ্ধতির মাধ্যমে এ ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান উপাচর্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হুন্দাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির ম্যানেজার ডে ইয়ংলি, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সানজিনে’র পরামর্শক জাংগ হো বিন, প্রকল্পের উপ-পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নূর ই এলাহী প্রমুখ।
নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম ফেজে থাকবে স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টারসহ অন্যান্য সেন্টারসমূহ। দ্বিতীয় ফেজে থাকবে জেনারেল সার্জারি, অফথালমোলজি/ডেন্টিস্ট্রি/ডার্মাটোলজি সেন্টারসহ অন্যান্য সেন্টারসমূহ।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাখা হবে রোগীবান্ধব সবুজ আরোগ্য উদ্যানসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুবিধা। সুপরিসর হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও তথ্য কেন্দ্র থাকলেও হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু থাকবে। এর মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। রোগ নির্ণয়ের সর্বাধুনিক সুবিধাসহ থাকবে লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধা। এখানে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে সেবা গ্রহণ করবে ২০০০-৪০০০ রোগী।
হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে প্রতিবছর প্রায় ২২০০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এর ফলে প্রতিবছর দেশের বাইরে চলে যাওয়া ৩০০-৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমএএম/এমজেএফ