তিনি বলেন, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বিশাল বিনিয়োগ করা হয়েছে। কারণ আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার স্বাস্থ্যখাতে এসডিজি অর্জন, প্রাতিষ্ঠানিক বিতরণ এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস নিশ্চিত করা।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের দিল্লির একটি হোটেলে চতুর্থ গ্লোবাল ডিজিটাল হেলথ পার্টনারশিপ (জিডিএইচপি) শীর্ষক সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার উন্নতির জন্য এ ধরনের প্রযুক্তি তৃতীয়স্তরের স্বাস্থ্যসেবাগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্য হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করার জন্য নীতি বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩২টিরও বেশি ওষুধ সরবরাহ করছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের পরিষেবা রেকর্ডিংয়ের জন্য ট্যাব দেওয়া হয়েছে এবং টিকা ও ওষুধ গ্রহণের জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে, মা এবং শিশুদের জন্য।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার জন্য ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে যাতে, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায় এবং সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করা হয়।
গ্লোবাল ডিজিটাল হেলথ পার্টনারশিপ (জিডিএইচপি) সরকার, সরকারি সংস্থা এবং বহুজাতিক সংস্থার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যা প্রমাণিতভিত্তিক ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে তাদের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা উন্নত করার জন্য নিবেদিত।
স্বাগতিক দেশ ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরবসহ ফোরামের সদস্য ২৩ দেশের মন্ত্রী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাদ্দার দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, যার মধ্যে ২৩ সদস্য রাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধিরা তাদের দেশব্যাপী বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএএম/জেডএস