সফরের প্রাক্কালে সংবাদমাধ্যম সাউথ এশিয়ান মনিটরের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শেরিং। সাংবাদিক গোপীলাল আচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি কথা বলেছেন আসন্ন সফর ও অন্যান্য বিষয়ে।
গোপীলাল আচার্য: অনেকদিন ধরে আপনি বাংলাদেশে ছিলেন। এ সফর আপনার কাছে ঘরে ফেরার মতো মনে হচ্ছে কি-না?
প্রধানমন্ত্রী লোটায় শেরিং: মানুষ হিসেবে আমাদের সবার মধ্যেই আবেগ কাজ করে। আমি ১০ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ কাটিয়েছি। সেখানে আমার অনেক সতীর্থ, বন্ধু রয়েছে; যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি, খেয়েছি, ঘুমিয়েছি। সেজন্য ব্যক্তিগত জায়গা থেকে স্বভাবতই আমি উচ্ছ্বসিত। রাষ্ট্রীয়ভাবেও বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক যোগাযোগ আছে। তাই বলা যায়, ব্যক্তিগত এবং রাষ্ট্রীয়- উভয় অবস্থান থেকে আমি এ সফর নিয়ে উদ্বেলিত।
গোপীলাল আচার্য: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে যাচ্ছেন কি?
প্রধানমন্ত্রী লোটায় শেরিং:…সফরের সূচিতে আছে সেখানে যাওয়ার বিষয়টি। যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আমি প্রায় সাত বছর কাটিয়েছি, সেখানে খানিকটা সময় ঘুরতে পারলেও আমি আনন্দিতবোধ করবো। …তাছাড়া শুনছি যে এই মেডিকেল কলেজ এখন দেশে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি, সেই উচ্ছ্বাসও কাজ করছে…।
গোপীলাল আচার্য: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কী আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে এ সফরে।
প্রধানমন্ত্রী লোটায় শেরিং: একেবারে বিশেষ কোনো ইস্যু নেই এখন। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাইছি, এটাই আমার মূল লক্ষ্য। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, ট্রানজিট আছে। এ ধরনের সম্পর্ক আরও সাবলীল করতে চাইছি। দু’দেশের বেসরকারিখাত ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ-বাণিজ্যের জায়গা আরও ফলপ্রসূ করার জন্য কাজ করতে চাই আমরা। … অন্যদিকে আমি নিজেই একজন চিকিৎসক, সেজন্য নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা এই সরকারের কর্মপ্রণালীর এক নম্বরে রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ (চিকিৎসক) দিয়ে সহায়তার অনুরোধ করবো। কারণ আমরা অন্য দেশগুলো থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাচ্ছি না, তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভাতা দিতে পারছি না বলে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের খাতিরে এবং ঢাকার নেতৃত্বের সৌজন্যে শুভেচ্ছা হিসেবে আমার অনুরোধ অনুযায়ী যদি আমরা ৩০-৪০ জন বিশেষজ্ঞ পাই, তবে এটা আমাদের জনগণের জন্য অনেক বিশাল এবং তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি হবে। এ বিষয়টি নিয়ে এখানে (থিম্পু) বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেছি…।
গোপীলাল আচার্য: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ঘিরে আপনার নিশ্চয় অনেক সুখস্মৃতি আছে…
প্রধানমন্ত্রী লোটায় শেরিং: মোদ্দাকথায় বললে, আমি সেখানে দারুণ সময় কাটিয়েছি। বাংলাদেশিরা আচরণগত দিক থেকে একেবারে বন্ধুসুলভ। আমার সেখানে অনেক বন্ধু আছে, যারা বাংলাদেশের নেতৃত্বে মধ্যম পর্ায়ে কাজ করছে। আমি সেখান থেকে মেডিকেল ডিগ্রি, সার্জিক্যাল ডিগ্রি লাভ করেছি। সেখানে যে সময়গুলোই কাটিয়েছি আমি, দারুণ ছিল…।
(সাক্ষাৎকারের বাকি অংশে ভুটানের সরকার পরিচালনাসহ সে দেশের সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী লোটায় শেরিং)
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এইচএ/