ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের কারণেই আত্মত্যাগ করেছিল বাঙালি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের কারণেই আত্মত্যাগ করেছিল বাঙালি ‘বিশ্ব কণ্ঠ দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠে ভাষণের কারণেই দেশবাসী ১৯৭১ সালে আত্মত্যাগ করেছিল, যার মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ে ‘বিশ্ব কণ্ঠ দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আপনার কণ্ঠ সুরক্ষায় যত্নশীল হোন’।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই বজ্রকণ্ঠের ভাষণ বা ডাকের কারণেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার নেতৃত্ব ছাড়াও কণ্ঠের বিশাল প্রভাব রয়েছে। কেননা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তার কণ্ঠের তীব্রতায় মুগ্ধ হয়েছিল দেশবাসী। এ ভাষণ শুনেই সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এজন্য কণ্ঠ বিষয়ে আরও গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও কল্যাণকর করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বিএসএমএমইউ প্রতি মুহূর্তে সাফল্যের সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  

এসময় তিনি বিশ্ব কণ্ঠ দিবসের সফলতা কামনা করেন এবং এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা মানতে ও আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।  

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, অংটাল্যারিংগোলজিস্ট হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, সোসাইটি অব অটোল্যারিংগোলজিস্ট- হেড অ্যান্ড নেক সার্জনস অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ, অধ্যাপক ডা. এস এম খোরশেদ আলম মজুমদার, শেখ হাসানুর রহমান প্রমুখ।

এ সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকা, ধূমপান থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখা, ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশ থেকে দূরে থাকা, মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা যাতে স্বরযন্ত্রে পানিশূন্যতা দেখা না দেয় এবং দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার আহ্বান জানান। রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা।  

এরআগে, দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের সামনে বটতলা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। এরপর মিলন হলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার। সবশেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এমএএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।