মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মানিকগঞ্জ অাধুনিক ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডায়রিয়া, সর্দি জ্বর, টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে স্বজনরা ভিড় করছেন কনসালটেন্টের চেম্বারে। এসব রোগীদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার গড়পাড়া থেকে অাসা শিশু আব্দুল্লাহর (৫ মাস) ফুপু সাহেদা অাক্তার বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাতে আব্দুল্লাহর হঠাৎ করে খিচুনি শুরু হলে হাসপাতালে নিয়ে অাসি। ডাক্তার আব্দুল্লাহ অবস্থা দেখে ভর্তি করে নেন। এখনও ওর অবস্থা তেমন ভালো না। ডাক্তার বলছেন অারো কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ঘিওর উপজেলা সিনজুরি এলাকার রুবি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, রোববার রাত থেকে প্রচুর জ্বর ও বমি করতে থাকে রাহুল মিয়া (০৮)। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে সেখান থেকে মানিকগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে অানার পর এখানকার ডাক্তাররা রাহুলকে ভর্তি করতে বলেন। এখন অাগের চেয়ে অনেকটা ভালো অাছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার চরমেহেদি এলাকার আরজিনা খাতুন বলেন, সকাল থেকে আমার ছেলে সুজন মিয়ার (১০) জ্বর ও পেট ব্যথা। অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার দেখে আমার ছেলেকে ভর্তি করে নেন।
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স রাশিদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে হঠাৎ করে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৫ এপ্রিল ১২ জন, ২৬ এপ্রিল ১৮, ২৭ এপ্রিল ২২, ২৮ এপ্রিল ২০, ২৯ এপ্রিল ১৫ ও ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টা পর্যন্ত আরো ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতালে শিশুদের জন্য একটি ওয়ার্ডে বেড রয়েছে মাত্র ২৪টি। রোগী বাড়ার কারণেই বাধ্য হয়ে এক বের্ডে দুই জন করে শিশু রাকা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ অাধুনিক সদর হাসপাতালের অাবাসিক মেডিকেল অফিসার (অারএমও) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণেই শিশুদের মধ্যে জ্বর, ঠাণ্ডা, পেটব্যথা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রত্যেক শিশুর অভিবাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে করে তারা রোদের মধ্যে না যায়। বাসায় থাকা অবস্থায় শিশুদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার এবং পানি খাওয়াতে হবে। বাসা থেকে বাইরে গেলে কোনো অবস্থাতেই আখের রস বা কোনো ধরনের শরবত খেতে দেওয়া যাবে না। এরপরও শিশুদের কোনো ধরনের সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
আরএ