ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘জলাতঙ্কের সঙ্গে ক্ষতিকারক মানুষও দমন করতে হবে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
‘জলাতঙ্কের সঙ্গে ক্ষতিকারক মানুষও দমন করতে হবে’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সমাজের ক্ষতিকারক মানুষগুলো জলাতঙ্ক বা র‍্যাবিসে আক্রান্ত উল্লেখ করে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের পাশাপাশি তাদেরও দমন করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের কাজে আমাদের যেভাবে এগিয়ে আসতে হবে, সেভাবেই সমাজের ক্ষতিকারক মানুষ, যাদের আচরণ দেখে মনে হয় জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত, তাদেরও দমন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রকে উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যে ভেজাল ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হতে হবে। এগুলো যাতে ব্যবহার করা না হয়, সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি দিতে হবে। গবাদি পশুর খাবারে ট্যানারির বর্জ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয় বলেই, গবাদি পশু থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যে অ্যান্টিবায়োটিকসহ রাসায়নিক ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। এসব খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এতে করে আমাদের দেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য কোনো দিনই অর্জন হবে না। তাই সবাইকে সমন্বিতভাবে এসব সমস্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া রাজধানীতে এখন প্রচুর পরিমাণে শব্দ দূষণ হচ্ছে, এটাও রোধ করতে হবে।

পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রাণী হত্যা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, মানুষ ও প্রাণী আদি কাল থেকে একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আর সভ্যতার শুরু থেকেই কুকুর মানুষের বন্ধু। এ কারণে কুকুর কে নির্মূল না করে জলাতঙ্ক প্রতিরোধ করা হচ্ছে। তাছাড়া রোগটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো প্রাণীই হচ্ছে কুকুর। এছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রশাসনিক বাহিনিগুলোতে দেখা যায় অনেক সফলতা আছে, যেগুলো মানুষ সম্পন্ন করতে পারে না, কিন্তু কুকুর সম্পন্ন করতে পারে। আর সাবধানতা হিসেবে বলবো, কুকুর কামড়ালে দেরি করবেন না, দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, রেবিস ইন এশিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, জেনেটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

এর আগে সকালে রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় কুকুরকে ইনজেকশন ও লাল রঙ দিয়ে চিহ্নিত করার মাধ্যমে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিএনসিসির মেয়র।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।