সোমবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সরেজমিনে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গেলে এমন তথ্য মেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, (৬ মে থেকে ১৩ মে) দুপুর পর্যন্ত ৫৬০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বরগুনা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরমান আলী সড়কের বাসিন্দা মো. জাফরের দেড় বছরের মেয়ে জামিলাকে দু'দিন আগে ভর্তি করেছেন। ফরমান বলেন, হাসপাতাল থেকে ইনজেকশন, ওষুধ, স্যালাইনসহ সব কিছু দিয়েছে। বাহির থেকে কিছু কিনিনি। আমার মেয়ে বর্তমানে মোটামুটি সুস্থ।
বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়ন থেকে আসা রোগী আয়শা জানান, সকালে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি হইছি। যেভাবে চিকিৎসা পাওয়ার কথা সেরকম পাচ্ছি না। তাছাড়া বাহির থেকে ইনজেকশন, ওষুধ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি আকরিতা বাংলানিউজকে জানান, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ১২টি বেড। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় রোগীদের থাকার স্থান সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে বর্তমানে ইনজেকশন সেফট্রিয়াক্সন (Ceftriaxone) এক গ্রাম নেই। যা বাহিরে দোকানে মূল্য ২০০ টাকা। তাছাড়া খাওয়ার স্যালাইন, এ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন হাসপাতাল থেকে সাপ্লাই দেয়া হয়। তবে রোগীর বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাহির থেকে ওষুধ কিনে চিকিৎসা নিতে হয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) তত্ত্বাবধায়ক বাংলানিউজকে বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। বরগুনায় এসে শিগগিরই ইনজেকশন সেফট্রিয়াক্সন (Ceftriaxone) এক গ্রাম আনার ব্যবস্থা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৯
আরএ