সোমবার (১৩ মে) বেলা ১২টা থেকে বিকেল প্রায় ৩টা পর্যন্ত তারা উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এ সময় কয়েকশ বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকের স্লোগানে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস ও উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা উপাচার্যের কার্যালয়ে যেতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ, অন্যান্য কর্মচারী ও আনসারদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হলে ১০ থেকে ১২ জন চিকিৎসক আহত হন।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ওই সময় ক্যাম্পাসে না থাকায় আন্দোলনকারীরা এক পর্যায়ে ক্যাম্পাস উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে যান। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে একটি লিখিত আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান বরাবর পেশ করেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা বাংলানিউজকে জানান, উপাচার্য’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে তাদের কথা হয়েছে। তিনি তাদের মঙ্গলবার (১৪ মে) সময় দিয়েছেন। তাই তারা সময় অনুযায়ী আবার আসবেন। উপাচার্য দাবি মেনে না নিলে তারা প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
আন্দোলনকারী বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তাদের স্বজনদের নিয়োগ দিতে পরীক্ষার ফলাফলে টেম্পারিং করা হয়েছে। এমনকি যাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়স নেই, এমন চিকিৎসকরাও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তারা জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা বিভিন্ন কোর্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়েই তাদের চাকরি হবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষাও তাদের ভালো হয়েছে। অনিয়মের কারণেই বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ করছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, একদল চিকিৎসক সোমবার উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। তবে ওই সময় উপাচার্য তার কার্যালয়ে ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় এসময় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি, তবে নিশ্চিত নই। বয়স নেই এমন চিকিৎসক নিয়োগে উত্তীর্ণ হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বয়স নেই এরকম একজন সম্পর্কে আমরা জানতাম। তাকে আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
১৮০ জন মেডিকেল অফিসার এবং ২০ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগে বিএসএমএমইউতে গত ২০ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশ নেন। গত ২০ মার্চ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় ১ পদের জন্য ৪ জনকে পাস করানো হয়। এ হিসাবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। চূড়ান্ত নিয়োগের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এমএএম/জেডএস