মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা ১২টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এবং নিচতলায় ডা. মিলন হলের সামনে বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকরা জড়ো হয়ে পরীক্ষা বাতিল ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন।
পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুসারে স্মারকলিপি নিয়ে বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান।
বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা আদালতে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তারা জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দাবি ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তাদের স্বজনদের নিয়োগ দিতে পরীক্ষার ফলাফলে টেম্পারিং করা হয়েছে। এমনকি যাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়স নেই তারাও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিক্ষুদ্ধ চিকিৎসক ডা. রিয়াদ আরেফীন বলেন, সকালে আমরা স্মারকলিপি নিয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্ত তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মিটিংয়ে ছিলেন। স্মারকলিপিতে আমরা আমাদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেছিলাম। এই পরীক্ষায় যে ৩২ বছরের বেশি বয়সীরা সুযোগ পেয়েছে এবং স্বজনপ্রীতি হয়েছে আমাদের কাছে এসব তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকতার কাছে কিছু তথ্য চেয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দেয়। সেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটিতে কারা ছিলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, বয়স ৩২ ঊর্ধ্ব প্রার্থীর তথ্য এবং কর্তা ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয়বাহী প্রার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আপসহীন অবস্থায় থেকে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা এসব করছে। তাদের দাবি অযৌক্তিক। মেধার ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। অনিয়মের কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা যতই যা করুক এ বিষয়ে কোনো আপোস হবে না।
গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার এবং ২০ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। ২০ মার্চ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় এক পদের জন্য ৪ জনকে পাস করানো হয়। এ হিসাবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। চূড়ান্ত নিয়োগের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এমএএম/এমজেএফ