শনিবার (০১ জুন) বিকেলে শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার ‘খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রসূতি নারীর মৃত্যু হয়। পারভীন সদর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।
আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার (৩১ মে) সকাল সাতটার দিকে প্রসব বেদনা শুরু হলে পারভীনকে খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ক্লিনিকের পরিচালক ডা. ডিউক চৌধুরী পারভীনের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করলে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। অস্ত্রোপচারের পর মা-ছেলে দুইজনই সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।
একদিন পর শনিবার বিকেলে তিনি স্ত্রী পারভীনকে খাইয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ক্লিনিক থেকে আলমগীরকে ফোন করে বলা হয় তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে বলেন পারভীন মারা গেছেন।
আলমগীর অভিযোগ করে আরও বলেন, আমি ক্লিনিকে আসার আগেই তাড়াহুড়ো করে পারভীরের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেয় ক্লিনিকের লোকজন। এ ঘটনায় তিনি কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করেছেন।
খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎক ও পরিচালক ডা. ডিউক চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বাংলানিউকে তিনি বলেন, পারভীনের হঠাৎ করে হৃদপিণ্ড ব্লক হয়ে গিয়েছিল। আমরা তাকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করি। এখন রোগীর স্বজনরা যদি অভিযোগ দেয় ভুল চিকিৎসায় পারভীন মারা গেছে তাহলে প্রমাণ করুক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৯
এস এইচ এস/এসআইএস