বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (লাইন ডিরেক্টর, সিডিসি) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে এডিস বাহিত রোগের (ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া) প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও ডেঙ্গু চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন সম্পর্কিত একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, জাতীয় ডেঙ্গু গাইডলাইনের এডিটর-ইন-চিফ অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এইচএএম নাজমুল আহসান, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, ঢামেকের একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডেঙ্গু ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সভায় বিশেষজ্ঞরা বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে জানিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে অবশ্য করণীয়গুলো হলো- সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা অবশ্যই জাতীয় গাইডলাইন ২০১৮ অনুসরণ করে দিতে হবে, ডেঙ্গু মৌসুমে যেকোনো জ্বরের রোগীকে চিকিৎসার জন্য দ্রুততার সঙ্গে রেজিস্টার্ড ডাক্তার অথবা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে, ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনাই প্রধান চিকিৎসা, এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অবশ্যই গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে, ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি (শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) আছে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে, কেস, ভেক্টর ও ভাইরাস সম্পর্কিত সার্ভিলেন্স জোরদার করতে হবে ও সমন্বিত বাহক ব্যবস্থাপনা (কমিউনিটি, প্রাতিষ্ঠানিক ও জাতীয় পর্যায়ে) আরো জোরদার করতে হবে।
এছাড়া এক্ষেত্রে অবশ্য বর্জনীয় বিষয়গুলো হলো- ডেঙ্গু রোগীকে প্যারাসিটামল ছাড়া এনএসএআইডি, স্টেরয়েডস, ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা, প্লাটিলেট কনসেনট্রেট দেওয়া যাবে না। অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী/স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে জ্বরের চিকিৎসা করা যাবে না।
এছাড়া ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া গাইডলাইন দু’টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রয়েছে বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এমএএম/এএ