শনিবার (২৭ জুলাই) শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ও এক চিকিৎসক এ পরামর্শ দেন।
নির্ভার থাকতে বলার কারণ সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জানা যায়, বরিশালে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
সূত্র মতে, শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসে ২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও এখনও ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বরিশালে এর আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব তেমন ছিল না। গত জুন মাসে ঢাকা ফেরত রিফাতুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুই সপ্তাহ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। ওই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত আর কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। তবে, চলতি মাসের ১৬ জুলাই থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে শুরু করে হাসপাতালে। এদের বেশিরভাগ ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরীর, মাথা ব্যাথা, জ্বর এবং বমি বমি ভাব হচ্ছে তাদের। হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১২ জনের মধ্যে ৩ জন নারী ও বাকি ৯ জন পুরুষ। যথেষ্ট জায়গা না থাকায় মেডিসিন ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সঙ্গে তাদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। একইসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের ওষুধপত্র ও মশারি।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বরিশালে আগে ডেঙ্গুর উপস্থিতি না থাকলেও ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তরা বরিশালে ফিরে আসায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ রোগ প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখামাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, এ রোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এমএস/এইচএডি