মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ড্যাবের বিএসএমএমইউ শাখা থেকে পদত্যাগকৃত চিকিৎসকদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ডোনার ও আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম স্বাক্ষরিত ড্যাব, বিএসএমএমইউ শাখার কমিটি সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক এবং অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠন করার কারণে চিকিৎসকরা ঘোষিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগকৃত ১৪ জন চিকিৎসক হলেন- সহ-সভাপতি ডা. সাইফুদ্দিন নিসার আহমেদ তুষান, সহ-সভাপতি ডা. মো. আদনান হাসান মাসুদ, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. মনোয়ারুল কাদির বিটু, সহ-দপ্তর সম্পাদক ডা. কাজী মো. কামরুল ইসলাম, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক ডা. মো. তাজ উদ্দিন, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম এলিন, সহ-মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, সহ-আপ্যায়ন সম্পাদক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জুয়েল, সদস্য ডা. এহতেশামুল হক তুহিন, সদস্য ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, সদস্য ডা. ইমামুর রশিদ সোহেল, সদস্য ডা. মো. আ ক ম আনোয়ার হোসেন মুকুল ও সদস্য ডা. মো. সাইফুল ইসলাম সেলিম।
এদিকে, বিএসএমএমইউ’র ড্যাবের আজীবন সদস্য সংখ্যা ২০১২ সালে ১৯১ জন থাকলেও তা কমে দাঁড়ায় ৭৪ জনে। বর্তমানে শুধুমাত্র বিএসএমএমইউতেই ড্যাবের দেশের সর্ববৃহৎ কমিটি বিদ্যমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বরাবর পাঠানো স্মারকলিপিতে পদত্যাগকৃত চিকিৎসকরা বিএসএমএমইউ’র ড্যাব কমিটি থেকে পদত্যাগের কারণগুলো প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন না করে অগণতান্ত্রিক এবং অসাংগঠনিকভাবে একটি অগ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো প্রকার সাধারণ সভা আহ্বান না করে, সাধারণ সদস্যদের মতামত না নিয়ে, বিশেষ নেতার আশির্বাদপুষ্ট রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় কিছু কর্মী নিয়ে কমিটি গঠন করার হয়েছে।
দেশের একমাত্র মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসন, শিক্ষক, চিকিৎসকদের কাছে গ্রহণযোগ্য পেশাগতভাবে বয়োজ্যেষ্ঠ ও মর্যাদাশীল পদে অধিষ্ঠ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করা হয়নি। ১/১১ পরবর্তী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে এ হাসপাতালে এখনও যে সব চিকিৎসক ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের এ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ সদস্য বিগত ১২ বছর আন্দোলন সংগ্রামের সম্পৃক্ত নেই এবং সাধারণ সদস্যরা তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএএম/আরবি/