বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ৬২ জন, সার্জারি অনুষদের ৯২, শিশু অনুষদের ২৭, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ৪৬, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ১৪ এবং ডেন্টাল অনুষদের ২২ জন মনোনীত রেসিডেন্ট ও ছাত্রছাত্রীদের এই থিসিস গ্রান্ট দেওয়া হয়।
শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএসএমএমইউ’র শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির এমডি, এমএস, এমপিএইচ কোর্সে মনোনীত রেসিডেন্ট ও ছাত্রছাত্রীদের গবেষণার জন্য এই অনুদান দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, রোগীদের কল্যাণ ও প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য গবেষণা করতে হবে সততা, আন্তরিকতা ও যথাযথভাবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের জার্নালে গবেষণা কর্মটি প্রকাশের সবগুলো ধাপ ও প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে শিখতে হবে ও জানতে হবে। গবেষণার কাজটিও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হবে। গবেষণা কর্মটি হতে হবে ইনডেপথ ও বিশ্বাসযোগ্য। যা রোগী ও মানুষের কল্যাণে যেমন কাজে লাগবে, তেমনি নিজেদের জ্ঞানভাণ্ডারকেও সমৃদ্ধ করবে। ছাত্র যদি সত্যিকার অর্থেই কিছু না শিখে যায়, তবে শিক্ষকের কষ্ট লাগে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নানসহ বিভিন্ন বিভাগের ডিন, কোর্স ডিরেক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেসিডেন্ট ও ছাত্রছাত্রীদের গ্রান্ট দেওয়া সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা এবং মনোনীত রেসিডেন্ট ও শিক্ষার্থীরা।
সভাপতির বক্তব্যে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, একটা সময়ে গবেষণা বা থিসিস গ্রান্টে কোনো অর্থ বরাদ্দ ছিল না। এখন দিন বদল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে। গবেষণার বাজেট এনে, তা ভাগ করে নিলেই হবে না। সত্যিকার অর্থেই রোগী ও মানুষের কল্যাণে প্রয়োজন এমন ইনোভেটিভ গবেষণা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এমএএম/টিএ