খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করলেও চিকিৎসক ও অন্য স্টাফ রয়েছেন ১০০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনার মতো। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় হাজারের বেশি রোগী দেখেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচ টাকার টিকিট কেটে বহির্বিভাগে চিকিৎসক দেখাতে শত শত রোগী লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। এর মধ্যে অনেকে বয়স্ক ও বাচ্চা রোগী নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে না থাকতে পেরে পাশের সিটে বসে অপেক্ষা করছিলেন। বাড়তি রোগীর চাপের কারণে রোগীদের তেমন সময়ও দিতে পারছিলেন না চিকিৎসরা। এতে বাধ্য হয়ে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে দেখা যায়।
হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবা নিতে এসে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার মোসলেম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে এসে সিরিয়ালে এক ঘণ্টার উপরে অপেক্ষা করছি। আমার সামনে যে সিরিয়াল তাতে মনে হয় না কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার দেখাতে পারবো। তাই বাধ্য হয়ে বাচ্চাকে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছি।
সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি এলাকার সুফিয়া বেগম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ১০টার সময় টিকিট কেটে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা বিষ (ব্যথা) হয়ে গেছে। এ কারণে সিরিয়াল থেকে এসে সিটে বসে অপেক্ষা করছি। সিরিয়াল কমলে ডাক্তার দেখামু। যাগো টাকা আছে তারা বাইরে যাইয়া ডাক্তার দেখাইতাছে, আমার টাকা নাই দেইখা বসে আছি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আওয়াল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করলেও চিকিৎসক রয়েছে ১০০ শয্যার। প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ১৩ থেকে ১৪ শত রোগী দেখেন ডাক্তাররা। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও চিকিৎসা দিতে হয় তাদের। এতো কম সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে রোগী সামাল দিতে পারছি না। প্রতিদিন যে হারে বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীর চাপ পড়ছে এতে সেবার মান নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন ডেলিভারি, অস্ত্রোপচার ছাড়াও প্রায় সময়ই মরদেহের ময়নাতদন্ত থাকেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
আরআইএস/