খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তরের আয়োজনে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহানগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলন কক্ষে একটি জেলা অ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সুন্দরভাবে সম্পন্নে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, ১ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত খুলনায় সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের কৃমিনাশক (মেবেন্ডাজল ৫০০ মি. গ্রাম) ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের সমবয়সী শিশুদেরও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এছাড়া একই বয়সী পথশিশু, কর্মজীবী শিশু, বিদ্যালয় থেকে ঝরেপড়া সব শিশুকেও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর আওতায় আনা হবে। কৃমিমুক্ত সুস্থ্য সবল জাতি গঠনই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
কৃমি প্রতিরোধ করতে হলে ছয়মাস পর পর কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো, খালি পায়ে চলা ফেরা না করে জুতা ব্যবহার করা, পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, হাতের নখ ছোট রাখা, খাদ্যদ্রব্য ঢেকে রাখা, ফলমূল ধুয়ে খাওয়া এবং খাবার গ্রহণের আগে দু’হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ছয়মাস অন্তর কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। আগামী অক্টোবরে ২৩তম কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হবে।
এবার খুলনার নয়টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভাসহ দুই হাজার ১শ ৪৩টি সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট তিন লাখ ৯৪ হাজার ২২ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়া খুলনা মহানগরীতে পাঁচশ ৯১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৪৯ হাজার সাতশ ৭০ শিশুকে এ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। সবমিলিয়ে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭শ ৯২ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য কার্যালয়ের উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার রুহুল আমীন, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সমাজসেবাসহ বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। স্বাগত জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আতিয়ার রহমান শেখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরএম/এএটি