এছাড়া গত তিন মাসের মধ্যে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে কম ভর্তি হয়েছে শুক্রবার (০৪ অক্টোবর)। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬০ জন।
এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৮১ জন। প্রতিষ্ঠানটিতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু সন্দেহে ২৩১ মৃতের তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ১৩৬ মৃত ব্যক্তির তথ্য পর্যালোচনা করে ৮১ জনের ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। হাসপাতলে ভর্তি হয়ে মৃত ৮১ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৬, জুলাইয়ে ৩২, আগস্টে ৩৭ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৪ জনের মৃত্যু হয়। আর এসব মৃত্যুর মধ্যে শিশুমৃত্যুর হারই সবচেয়ে বেশি বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার এ তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে নতুন করে আরও ২৬৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৬০ জন এবং ঢাকার বাইরে ২০৯ জন। অর্থাৎ ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা তিনগুণের বেশি। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯ হাজার ৬১৬ জন। এরমধ্যে ৮৭ হাজার ৯০৩ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যা এ পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগীর ৯৮ শতাংশ।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৪৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যার মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৯৮২ জন।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১৬, মিটফোর্ডে ৫, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ১, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জনসহ ঢাকা শহরের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ৩৭ জন ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২৩ জন।
এদিকে ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১, খুলনায় ৭৯, রংপুরে ২, রাজশাহীতে ১০, বরিশালে ৩৮, সিলেটে ৩ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন, সেপ্টেম্বরে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন এবং অক্টোবরে ১ হাজার ৬৬৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে ২০১৯ সালেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। যার মধ্যে আগস্ট মাসে ছিল সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
এমএএম/জেডএস