বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
বিষধর সাপের কামড় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ পরিস্থিতির প্রতিবেদন ও সাপের দংশনে জাতীয় গাইডলাইন প্রকাশ উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে সাপের আবাসস্থল নষ্ট করে আমরা সুস্থ থাকতে পারবো না। পরিবেশ বিপর্যয় হলে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবো। তাই শুধু সাপের কামড় থেকে বাঁচতে নয়, আমাদের সুস্থ থাকতেও পরিবেশের প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, গত তিনমাস মহামারি আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল। অনেক মৃত্যুও হয়েছে। চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার কারণেই আমাদের ডেঙ্গু মোকাবেলায় সফলতা এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মহাপরিচালক ডা. এম এ ফায়েজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, আঞ্চলিক উপদেষ্টা ডা. অপর্না সিং শাহ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ৮০ প্রজাতির সাপ পাওয়া গেলেও মাত্র আট প্রজাতির কামড়ে মানুষ মারা যায়। দেশে বছরে সাত লাখ মানুষ বিষধর সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় কিন্তু এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করে মাত্র ছয় হাজার।
সাপের কামড়ে এ মৃত্যুর বিষয়ে বলতে গিয়ে তারা বলেন, সব সাপের বিষপ্রতিরোধী ওষুধ বাংলাদেশে নেই।
পাশাপাশি এ ওষুধ উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ না হওয়া ও ওষুধ প্রয়োগে দক্ষ জনবলের অভাবকেও দায়ী করেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এমএএম/এবি