ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশেই আধুনিক ব্লাড ব্যাংক সেন্টার করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
দেশেই আধুনিক ব্লাড ব্যাংক সেন্টার করা হবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুব শিগগির দেশে উন্নত ও অত্যাধুনিক মানের সরকারি ব্লাড ব্যাংক সেন্টার করা হবে।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও সন্ধানী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় জরুরি রক্তের প্রয়োজন হয়। সময়মত রক্তের অভাবে অনেক মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। এক্ষেত্রে সন্ধানী অনেক কাজ করছে। তবে সরকারিভাবেও এ বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনা না করার কোনো উপায় নাই। কাজেই খুব দ্রুতই দেশে অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের ব্লাড ব্যাংক সেন্টার স্থাপন করা হবে।

মরণোত্তর চক্ষুদানের গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২৯ কোটি মানুষ। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এদের মধ্যে শুধু কর্ণিয়াজনিত অন্ধত্ববরণ করছেন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। প্রতি বছর দেশের ৪০ হাজার মানুষ অন্ধ হচ্ছেন। একজন মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর মধ্যে চোখ সবচেয়ে বেশি জরুরি। মানুষ যখন মারা যায় তখন চোখের মত এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যাতে নষ্ট না হয়, আরেকজন মানুষের দৃষ্টি ফিরে পায় এ কারণে সবাইকে মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসতে হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু প্রথম ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর তিনি ১৯৭৫ সালে অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানে ‘অন্ধত্ব মোচন অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথম জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রণীত হয়েছে ‘মানব দেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-২০১৯। ’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত বিএসএমএমইউ এর ভিসি ড. কণক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এমএএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।