এই পাঁচ প্রতিশ্রুতি হচ্ছে- মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসকরণ, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপূর্ণ চাহিদার হার হ্রাসকরণ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা হ্রাসকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জনমিত্তিক বৈচিত্র্য সংক্রান্ত বিষয়াদি মোকাবেলাপূর্বক জনমিত্তিক লভ্যাংশ অর্জন ও আইসিপিডি এবং এসডিজি অর্জনে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রৈমাসিক সহযোগিতা জোরদারকরণ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধায় নাইরোবি সামিটে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ সরকারের সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নেন।
নাইরোবিতে চলমান সম্মেলনটি আয়োজন ও অর্থায়ন করছে কেনিয়া, ডেনমার্ক সরকার ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা উন্নয়ন তহবিল (ইউএফপিএ)। ১৯৯৪ সালে কায়রোতে অনুষ্ঠিত প্রথম জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তির প্রেক্ষাপটে নাইরোবির এই সম্মেলনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন বক্তারা। সম্মেলনে জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়নে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয়সহ সার্বজনীন প্রজনন অধিকার, জ্যামিতিক বৈচিত্র্য, লভ্যাংশ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ প্রভৃতি বিষয়াদির গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়।
সম্মেলনের প্রথম দিন ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন এবং পার্টনারশিপ পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) ও ইউএনএফএ’র আয়োজনে সাউথ সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার পার্টনারশিপ টু অ্যাসেলারেট দ্য আইসিপিডি প্রমিস’ শীর্ষক আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সম্মেলনে প্যানেল আলোচক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী, চীনের স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী, গাম্বিয়ার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী, ডেনমার্ক এবং কেনিয়াসহ অন্যান্য দেশের সরকারি প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা আইসিপিডি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএএম/এইচএ/