ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাংলায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর লেখালেখির তাগিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
বাংলায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর লেখালেখির তাগিদ

ঢাকা: চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর বাংলায় তেমন বই নেই। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে এ নিয়ে পাঠের, জানার বা সচেতন হওয়ার সুযোগ কম। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর বাংলায় লেখালেখি বেশি দরকার।

বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ডা. প্রণব কুমার চৌধুরীর ছয় খণ্ডের ‘ছোটদের চিকিৎসা সমগ্র’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বক্তারা এ তাগিদ দেন।

বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, উনিশ শতকের গোড়ার দিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রথম বাংলায় লেখালেখি শুরু হয়। পরে এই ধারাটি শুকিয়ে যায়। এরপর ষাটের দশকে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আবার লেখালেখি শুরু হয়।

তিনি বলেন, বাংলায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই নেই। সাধারণ পাঠকদের জন্য বাংলায় বই থাকা বেশি দরকার। ডা. প্রণব কুমার চৌধুরীকে এজন্য অভিনন্দন জানাই।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ১৮১৭ সালে বাংলায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের লেখালেখি শুরু হয়। আর এটা শুরু করেন ইংরেজরা। ১৮৫২ সালে ফিলিক্স কেরি আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথম বাংলায় লেখা শুরু করেন। সার্জারির বই প্রথম লেখেন জহিরউদ্দিন আহমদ। প্রণব কুমার চৌধুরী তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকলেন।

প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, ৯০ সালে এফসিএস করে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে কাজ শুরু করি। তখন শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন ধারণা ছিল না মায়েদের। বার্লি যে শিশু কুখাদ্য তা নিয়েই প্রথম লিখি।

এখনো উল্লেখ্যযোগ্য শিশু পূর্ণ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। আর কন্যা শিশুর মৃত্যু হার বেশি। ছেলে শিশুর বেলায় তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিলেও মেয়ে শিশুর বেলায় প্রথমে টোটকা চিকিৎসা নেওয়া হয়। এটার পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য অ্যাকাডেমিক ও নন-অ্যাকাডেমিক লেখাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বক্তারা বলেন, ছোটদের চিকিৎসা করা খুব কঠিন। কেননা, তারা বলতে পারে না। তাই উপসর্গ বুঝে, রোগ নির্ণয় চিকিৎসা দেওয়াটা দুরূহ ব্যাপার।

শিশুর রোগের উপসর্গ যদি পিতা-মাতা দেখে বুঝতে পারেন, তবে চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়। প্রণব কুমারের বইটি থেকে বাবা-মায়েরা অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন। কেননা, এতে রোগ হওয়ার বিভিন্ন কারণ, উপসর্গ ইত্যাদি সুখপাঠ্য করে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।