সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে ‘মা ও শিশুর খাদ্যের পুষ্টির গুরুত্ব’ বিষয়ক শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কেন্দ্র সুনামগঞ্জের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান।
প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, সিলেট বিভাগের ৩৬ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। মূলত খাদ্যের ভারসাম্যহীনতার কারণে মা ও শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। শিশুর বিকাশে মায়ের দুধ খুব বেশি প্রয়োজন। এছাড়া মা ও শিশুদের খাদ্যে বৈচিত্র্যতা আনা প্রয়োজন। খাদ্যে বৈচিত্র্য থাকলে শিশুদের পুষ্টির অভাব পূরণ হয়।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একজন শিশুর জন্ম হওয়ার পর থেকে এক হাজার দিনকে বলা হয় শিশুদের ‘গোল্ডেন ডেইজ’। এসময়ের মধ্যে শিশুকে যথাযথভাবে যত্ন নেওয়া হলে এবং পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হলে ও নিয়মিত মায়ের দুধ পান করালে শিশুটি সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে।
এসময় অনুষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেনসহ কৃষি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
আরবি/