এতে অনেক শিশু ও নারী-পুরুষের শরীর ঝলসে যায় ও আগুনে দগ্ধ হয়। গত এক মাসে তীব্র শীতের কারণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে বেড়েছে গরম পানিতে ঝলসানো ও আগুনে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা।
এদিকে প্রতিদিনই প্রায় দুই শতাধিক এসব রোগীকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আউটডোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আবার যেসব রোগীর অবস্থা গুরুতর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, গরম পানিতে ঝলসানো ও আগুনে দগ্ধ হয়ে অনেক চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এসব রোগীর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে শিহাবুল রিয়াজ তার শিশু সন্তানকে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। চিকিৎসকের দরজার সামনে সন্তানকে কোলে নিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
রিয়াজ বলেন, অসাবধানতাবশত তার ছেলে গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
ঢাকার মেরাদিয়া থেকে আমেনা বেগম তার নাতি ইফরানকে (১১) চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। কারণ গরম পানিতে তার শরীরের অনেক স্থানে ঝলসে গেছে।
আমেনা বলেন, গরম পানি নিয়ে বাথরুমে ঢোকার সময় তার নাতি হঠাৎ দৌড় দেওয়ায় অসাবধানতাবশত পানি ছিটকে পড়ে ইফরানের শরীর ঝলসে গেছে। তাই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগ দেখা যায়, গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া ও দগ্ধ হয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। তবে এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. আ ফ ম আরিফুল ইসলাম নবীন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিনই গরম পানিতে ঝলসানো প্রায় ১০০ থেকে দেড়শ রোগীকে আউটডোরে চিকিৎসা দিচ্ছি। এসব রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের অসতর্কতার কারণে হাসপাতালে গরম পানিতে ঝলসানো রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
এছাড়া ঢাকার বাইরে থেকে তীব্র শীতের কারণে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে রোগী আসছে বলেও জানান আবাসিক সার্জন আরিফুল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এজেডএস/আরআইএস/