রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ৭৭ ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা ১০ থেকে ১২ বছর লেখাপড়া করেছেন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে, আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে অভিভাবদের কষ্ট করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারই আপনাদের লেখাপড়ার খরচ বহন করবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা জনগণের কষ্টের টাকা দিয়েই লেখাপড়া করছেন। এজন্য আপনাদের সততা ও দরদী হতে হবে। ভালো মানুষ হলেই ভালো ডাক্তার হতে পারবেন। অন্য কোনো পেশায় শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় না, এটি কেবল ডাক্তারি পেশায় আছে। কারণ আপনাদের হাতে মানুষের জীবন। রোগীরা আপনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। ছোট একটি ভুলেই বড় ভুল তৈরি করে। এজন্য আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যেখানে থাকেন না কেনো মানুষকে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া নিজেরই ক্ষতি হবে। অভিভাবকদের দায়িত্বও বেড়ে গেছে, তাদেরও সন্তানদের প্রতি খোঁজখবর রাখতে হবে। তাহলেও ভালো ডাক্তার হতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাত অনেক এগোছে। স্বাস্থ্যসেবার শ্রেষ্ঠ যুগ পার হচ্ছে। এ বছরই সাড়ে পাঁচ হাজার নতুন ডাক্তার এবং ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ হবে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব এমএ আজিজ বলেন, এখানে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা মেধাবীর চেয়েও মেধাবী। অভিভাবকরা সন্তানদের এখনো সেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহারে দেখাশুনা করবেন। আজ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনাদের পড়াশুনা করতে হবে। মেডিক্যালে পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনমূলক কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (সেবা) মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কেবল মাত্র পড়ালেখাই নয়, উদ্ভাবনের চেষ্টাও করতে হবে।
ঢামেকের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ নবীন ছাত্রছাত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (শিক্ষা) এইচ এম এনায়েত হোসেন, কলেজের শিক্ষক ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এএটি