এই ভাইরাসটি চীনের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং এমনকি আমেরিকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে ২০১৯- এনসিওভি (2019- nCoV) ভাইরাস বা নোভেল করোনা ভাইরাস আউটব্রেক সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সিডিসির পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, কিছু ভাইরাস মানুষ ছাড়া অন্যান্য পশু-পাখির মধ্যে সংক্রমিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি এ রকমই একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসের উপস্থিতি সর্বপ্রথম পরিলক্ষিত হয় ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। এরপর ৩১ ডিসেম্বর এই ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করা হয়। এতে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। প্রথম জনের মৃত্যু ঘটে গত ৯ জানুয়ারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরীক্ষা করে দেখেছে, যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সবাই অন্য কোনো শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন।
অধ্যাপক সানিয়া বলেন, যেহেতু চীনের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী ও পর্যটক ভ্রমণ করতে যায়, তাই এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এই ভাইরাসের ঝুঁকি খুবই সামান্য। এছাড়া এই ভাইরাসের সংক্রমণকে জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে বসেছে সংস্থাটি।
এসময় এ ভাইরাসের মাধ্যমে রোগে আক্রান্ত হলে তার লক্ষণ কী হতে পারে সে সম্পর্কে অধ্যাপক সানিয়া বলেন, এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি নিউমোনিয়া হবে। সর্বশেষে কিডনি ফেইলিওরের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করে।
বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরগুলোতে ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোতে সতর্কতা ও রোগের সার্ভেইল্যান্স জোরদার করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথে নতুন করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এমএএম/টিএ