তারা মূলত ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিআইএবি) থেকে প্রশিক্ষণ বা বিদেশে ডিগ্রি নিয়ে এ সেবা দিচ্ছেন। এতে করে প্রান্তিক পর্যায়ের রোগীদের দাঁতের ইমপ্ল্যান্ট সেবাটি ছড়িয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে দন্ত প্রতিস্থাপন সেবা ছড়িয়ে দিতে আয়োজিত সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ডিআইএবির উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট কংগ্রেস ও ডেন্টাল এক্সপো-২০২০ সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনে দন্ত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশে ডিআইএবি সাধারণ ডেন্টাল সার্জনদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টে দক্ষ করতে চেষ্টা করছে। ডিআইএবির প্রথম ব্যাচে ২০ জন চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে দাঁত প্রতিস্থাপনের কাজ করছেন। তবে বাংলাদেশে ডেন্টাল সার্জারি বিডিএস কোর্সে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট অন্তর্ভুক্ত ও একাধিক পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স চালু হলে দাঁতের রোগীরা ইমপ্ল্যান্ট সেবা বঞ্চিত হবে না। এমনকি দেশে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টের কলেবর বাড়লে মেডিক্যাল ট্যুরিজমের মাধ্যমে প্রতিবছর বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। কারণ ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সেবার মাধ্যমে সেসব দেশের মেডিক্যাল ট্যুরিজম বিলিয়ন ডলার ইন্ড্রাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মেলনে দেশের চিকিৎসকসহ যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারতের প্রায় চার শতাধিক ডেন্টাল সার্জন অংশ নেন। পাশাপাশি চিকিৎসকরা ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট বিষয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের বৈঠক, আলোচনা সভা ও হাতে কলমে শিক্ষার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএএম/আরআইএস/